আফ্রিকার নানা দেশ থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ফুটবলারদের ‘পাচার’ করে এশিয়ার লাওসে নিয়ে এসে জোর করে কন্ট্রাক্ট সই করানো হয়েছে বলে বিবিসি জানতে পেরেছে।
এদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী কিশোরও রয়েছে।
বিবিসির তদন্তে দেখা গেছে লাওসের চাম্পাসাক ইউনাইটেড দলে ছয়জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক খেলোয়াড় রয়েছে।
পশ্চিমা আফ্রিকা থেকে চাম্পাসাক ফুটবল একাডেমী ফেব্রুয়ারিতে মোট ২৩ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক খেলোয়াড় ‘পাচার’ করে এনেছে।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী আঠারো বছর না হওয়া পর্যন্ত কোন খেলোয়াড়কে বিদেশের কোন দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ করা যাবে না।
ফিফার নিয়ম ভঙ্গ করে অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড়দের লাওসের স্থানীয় লীগে খেলাচ্ছে চাম্পাসাক ইউনাইটেড।
এসব খেলোয়াড়দের বেতন ভাতা দেয়া হয়নি এমনকি ঠিকমতো থাকার যায়গাও দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে খেলোয়াড়দের কয়েকজন।
১৪ বছর বয়সী লাইবেরিয়ান কিশোর কেসেলি কামারা জানিয়েছেন তিনি ক্লাবের স্টেডিয়ামের মাটিতেও ঘুমিয়ে রাত কাটিয়েছেন।
বাড়ি ফিরে আর এক ফুটবলার লাওসে তার সময়কে দাসত্বের সাথে তুলনা করেছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে চাম্পাসাক ফুটবল একাডেমী।